নলছিটি প্রতিনিধি : গত ২০ তারিখ মধ্যরাতে পাবনা থেকে ফরিদপুর যাওয়ার পথে বাসের চাপায় ইজিবাইকের দুই আরোহী নিহত এবং বাকি সাতজন যাত্রী গুরুতর আহত হন।নিহত দুজন হলেন নলছিটি উপজেলার কান্ডপাশা এলাকার ইজিবাইক চালক সুমন ও তার শ্বশুর।বাকি আহতরাও তাদের একই পরিবারের সদস্য।
জানা যায় নিহত সুমন পাবনায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে স্বপরিবারে তার আরেক আত্মীয়ের বাড়িতে ফরিদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন।শুক্রবার মধ্যরাতে একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন দিক থেকে তাদের ইজিবাইকটিকে চাপা দেয়।এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুমন ও তার শ্বশুরের।বাকিদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পংগু হাসপাতালে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।কিন্তু অর্থাভাব এবং পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর কারনে তাদেরকেও বরিশালে নিয়ে আসা হয়।
শুক্রবার সন্ধায় সুমনকে তার নিজ বাড়ি কান্ডপাশা এলাকায় দাফন করা হয়।এসময় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় নিহত সুমনের জানাযায় উপস্থিত হন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইজিবাইক চালক সহ স্থানীয়রা।শুক্রবার সন্ধায় হওয়া জানাযায় মানুষের ঢল নামে,এসময় উপস্থিত সকলেই নিহত সুমনের জন্য আফসোস করেন এবং মর্মাহত হওয়ার কথা জানান।
স্থানীয় শিক্ষানুরাগী গিয়াস খান বলেন,সুমন অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিলো,সকাল, সন্ধ্যা বা গভীর রাত যখনই ডাক দিতাম সুমনকে পাওয়া যেতো।সদা হাস্যোজ্জ্বল এই ছেলেটির এমন আকস্মিক মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
সুমনের মামা ভ্যান চালক হেলাল জানান,তার বোনের ছেলে সুমন।ছোটবেলা থেকেই খুব কস্টে এতিমখানায় মানুষ হয়েছে।কিছুদিন আগেই নিজে একটি ঘড় তোলা শুরু করেছিলো,অথচ তার স্বপ্ন সব চুরমার হয়ে গেলো।
সুমনের এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে নলছিটির ইজিবাইক চালকদের মাঝেও।ইজিবাইক চালক জামাল হোসেন জানান সুমনের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত তারা।পরিবারের আহতদের চিকিৎসার জন্যও বিভিন্ন যায়গায় আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন তারাও।
সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ইজিবাইক চালক সুমনের পরিবারের বাকি আহত সদস্যদের কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক। তারা কয়েকজন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।।সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হলেও অর্থাভাবে থমকে গেছে চিকিৎসা।
এই দু:সময় সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছেন তারা। যোগাযোগ করতে পারেন নিহত সুমনের মামা মো: হেলালের সাথে।মোবাইল-+880 1748-061828