হাফিজুর রহমান লাভলু, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার ফ্রিজিয়ান জাতের ৩৩ মণ ওজনের ষাঁড় সুলতানকে বিক্রির জন্য রাজধানী ঢাকায় পশুর হাটে তোলা হবে। এলাকায় প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় বিক্রির জন্য সুলতানকে নেওয়া হচ্ছে ঢাকায়।
নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের বালুরঘাটা গ্রামের আকবর আলী তিন বছর ধরে সুলতানকে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করে কোরবানির উপযুক্ত করে তোলেছেন। ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৮ ফুট এবং উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি,ওজন ৩৩মণ। সুলতানের দাম হাঁকা হচ্ছে সাড়ে ১৫ লাখ টাকা। আকবর আলীর দাবি, উপজেলার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গরু এটি।
জানা যায়, আকবর আলীর খামারে তিন বছর আগে এই ষাঁড়ের জন্ম হয়। গত বছর ঈদে ষাঁড়টির দাম উঠেছিল সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু কোরবানির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় বিক্রি করা হয়নি।
আকবর আলী জানান, তিন বছর ধরে ষাঁড়টি সন্তানের মতো যত্নে লালন-পালন করছেন। প্রাকৃতিকভাবে এটি লালন-পালন করেছেন। পরিমিত খাবার দিয়েছেন। বেশি খাবার দিলে আরও ছয়-সাত মণ ওজন বেশি হতো। তবে ওজন অতিরিক্ত হলে অধিকাংশ গরু ঝিমিয়ে পড়ে। কিন্তু তার সুলতান খুবই প্রাণবন্ত।
আক্ষেপ করে এই খামারি বলেন, খামার থেকেই সুলতানকে বিক্রি করতে পারবো, এই প্রত্যাশা ছিল। কিন্ত এত বড় ষাঁড়ের দাম চাহিদামতো না ওঠায় বাধ্য হয়েই ষাঁড়টি এতো দূরে নিতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেনারি সার্জন আবু সাঈম বলেন, সুলতান নামের ষাঁড়টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির। সঠিক সময়ে সব ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রকার রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হয়নি। ষাঁড়টি ন্যায্য মূল্যে যেন বিক্রি করতে পারে, এটাই আমাদের চাওয়া। আর শুরু থেকেই প্রাণিসম্পদ বিভাগ পাশে ছিল, বিক্রি পর্যন্তও সকল পরামর্শ সেবা দিয়ে পাশে থাকব।