নিজস্ব প্রতিবেদক: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে গ্রামের শিক্ষার্থীরা যাতে প্রতিযোগিতার মহাসড়কে তাল মিলিয়ে চলতে পারে সেই লক্ষ্যে তাদের উন্নত পদ্ধতিতে পাঠদানের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলায় আমাদের ব্রত।সোমবার সকাল ১১ টায় নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব বলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর মডেল কলেজে অধ্যক্ষ আলহাজ্ব ছাদিকুজ্জামান খাঁন। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননের বিকাশ সাধন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে নানামূখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন কতৃপক্ষের(এনটিআরসি) শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে আসছে। অধ্যক্ষ কিংবা সভাপতির নিয়োগ দানের এখতিয়ার নাই। কিন্তু একটি কুচক্রীমহল নিয়োগ বাণিজ্যের নামে গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানান।
জানা গেছে,২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করার পর থেকেই বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব ও সমন্বিত টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে কলেজের আমূল পরিবর্তন বয়ে আনেন।
মানসম্মত শিক্ষা প্রসারে অসামান্য অবদান রাখায় দৌলতপুর মডেল কলেজ ২০১৭ সাল থেকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ধরে রেখেছে। অধ্যক্ষ মোঃ ছাদিকুজ্জামান সুমন পেয়েছেন ২০২২ ো ২০২৩ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানের সম্মাননা। উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় মানের শিক্ষা পাচ্ছে এই কলেজে অধ্যয়নরত ৬ হাজার শিক্ষার্থী। অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান সুমনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১১ টি বিষয়ে স্নাতক ও ৩ টি বিষয়ে মাষ্টার্স শ্রেণিতে পাঠদান শুরু হয়েছে।
পাঠ্যসূচীর পাশাপাশি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃতি,ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন,সাহিত্য,সংস্কৃতি, ক্রীড়া চর্চায় পৃষ্ঠপোষকতা করেন তিনি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করেছে। পুরো কলেজ সিসি ক্যামেরার আওতায় নেয়া হয়েছে। রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান। সুপরিসর খেলার মাঠের চারপাশে পিচ ঢালা রাস্তা। আধুনিক সকল সুবিধা থাকায় ২০২৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জাতীয় বিজ্ঞান মেলা বসে এই কলেজ প্রাঙ্গণে। গত কয়েক বছর ধরে উচ্চ মাধ্যমিক,ডিগ্রী পর্যায়ে শতভাগ পাসের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
অধ্যক্ষ আলহাজ্ব ছাদিকুজ্জামান সুমন কে জড়িয়ে কিছু নিবন্ধনহীন অনলাইন পোর্টালে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে জানান এবং নিয়োগ বাণিজ্যে সাথে দূরতম সম্পর্ক নাই এবং এধরনের কার্যকলাপ সমর্থন করেন না।
স্থানীয়রা জানান,দৌলতপুর মডেল কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানের প্রদর্শক জহুরুল হক ২০০১ সালে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০১৮ সালে একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি তার নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করে। অভিযোগ উঠেছে, প্রদর্শক জহুরুল হক সকাল বেলায় হাজিরা দিয়ে কলেজ ত্যাগ করেন। কলেজের কোন নিয়ম প্রতিপালন করেন না। তার এই স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করলে ক্ষীপ্ত হন। একটি কুচক্রীমহলের স্বার্থে তিনি সামাজিকভাবে হেয় করতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন বলে জানা গেছে।
সঠিক তথ্য অনুসন্ধান করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য পেশাদার সাংবাদিক সমাজের প্রতি উদাত্ত আহবান ও অনুরোধ করেছেন অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমন। দৌলতপুর উপজেলার শিক্ষার মানোন্নয়নে করনীয় শীর্ষক সংশ্লিষ্ট সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।