নয়ন আলী, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনসার সদস্য নিয়োগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার নামে লাখ লাখ টাকা ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা অফিসার মো. রহমতুল বারী ইউনিয়ন ও ইউনিট দলনেতাদের মাধ্যমে সদস্যদের কাছ থেকে এ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
#গোপন অনুসন্ধানে মিলেছে টাকা লেনদেনের সত্যতা!
#সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য জোড় তদ্বির
৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপ নির্বাচনে ১৩শত টাকা উৎকোচ দিয়ে বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডিউটি করেছে আমিনুল ইসলাম নামের এক যুবক । এবারের শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডিউটির জন্য নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য গেলে তাঁর কাছে ১৫শ টাকা দাবি করা হয়। তিনি আরো বলেন ১৫শ টাকা ঘুষ দিয়ে ২দিন ডিউটি করে যদি ৩ হাজার টাকা পাওয়া গেলে বাঁচবে ১৫ শ টাকা।তাঁর জন্য আমি ঘুষ দিবো না যার ফলে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।টাকা দিলে ঠিকমত আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হতো।আমিনুল আরো বলেন তাঁর পরিচিত অনেকেই টাকা দিয়ে ডিউটি করেছে।
অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সাংবাদিক পরিচয় গোপন রেখে নির্বাচনে ডিউটি প্রার্থী হিসেবে শাহজাদপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলে টাকা লেনদেনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।কয়েক টেবিল ঘুরে নাকি উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. রহমতুল বারী টেবিলে গিয়ে কাজ কাজ হয়।টাকা ও মাধ্যম ছাড়া কোন কাজ হয় না।
কতজন আনসার সদস্য নির্বাচনে ডিউটি করবে তিনদিন অফিসে ঘুরলেও তথ্য দেননি উপজেলা আনসার ও গ্রাম রক্ষা কর্মকর্তা মো রহমতুল বারী।কতজন ডিউটি করবে এমন তথ্য নাকি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তৈরি হয়নি। টাকা লেনদেনের কথা অস্বীকার বলেন মো. হেদায়েতুল বারী বলেন এই অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা।
বক্তব্য নিয়ে তার অফিস থেকে বের হওয়ার পর পরই এসব বিষয়ে যেন কোন সংবাদ প্রকাশ না হয় এই প্রতিবেদকের কাছে লোক মারফত তদ্বির শুরু হয়।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সিরাজগঞ্জ জেলা কমান্ড্যান্ট ফারুক আহমেদ বলেন আনসার সদস্যদের ডিউটির জন্য টাকা নেওয়ার কোন বিধান নাই।সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।