অনলাইন ডেস্ক : গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাকে দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষুন্ন করেছে। এর আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান হিসেবে র্যাব ও তার সাতজন কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়।
বুধবার বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) এ টি এম হায়দার মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের বর্ধিত সভায় মঞ্চের নেতারা এসব বলেন।
নেতারা বলেন, প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতাসীন সরকার দেশে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে রাষ্ট্রের সবকটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এমনকি সেনাবাহিনীকেও নিজেদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে আসছে।
বর্তমান সমন্বয়ক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। আলোচনায় আরও অংশ নেন গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
সভায় নেতারা বলেন, সরকার ও সরকারি দল তাদের কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রের বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তাদের পেশাদার দায়িত্বশীলতাকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে। এ কারণে উপঢৌকন হিসাবে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত ও বিতর্কিত কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ আসনে বসিয়েছে। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরকেও নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। আর এভাবে আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের মর্যাদাকে ভীষণভাবে ক্ষুন্ন করছে।
নেতারা বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ বিশ্বাস করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে তাদের অবস্থান আবারও স্পষ্ট করবে এবং দেশের জনগণের আস্থার বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখবে।
সভায় নেতারা দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জন আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।