ছবি ও সংবাদ >> আবু বকর সিদ্দিক স্বপন, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে প্রসূতি মায়েদের মৃত্যু যেনো নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। একের পর এক প্রসূতির মৃত্যু হচ্ছে কিন্তু বিচার হচ্ছে না কোনো ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বা ডাক্তারের।
ঝিনাইদহে ব্যঙ্গের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অনুমোদনহীন ক্লিনিক, যে সকল ক্লিনিকে চলছে হরদম সিজার বানিজ্য, অধিকাংশ ক্লিনিকের (ওটি) অপারেশন থিয়েটার এর অবস্থা খুবই নোংরা ও অরক্ষিত।
গত মাসেও ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন পাঁচটি ক্লিনিকের (ওটি) অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দিয়েছেন, কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে অনেক ভুয়া ক্লিনিক যাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহের তছলীম ক্নিনিকে মোছাঃ নাসরিন খাতুন জনি, স্বামী: নিকুল মন্ডল ঠিকানা, বাসুদেবপুর, ৮ নং চাঁদপুর ইউনিয়ন ঝিনাইদহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা জান।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে স্বামী নিকুল মন্ডল অভিযোগ করে বলেন চিকিৎসক ড: এম,এ খালেকের ভুল চিকিৎসার কারনে এই মৃত্যু হয়েছে।
শুধু তাই নয় মৃত্যুর পরে ঘটনা ধামাচাপা দেবার জন্যে তাছলীম ক্লিনিকের ড: এম এ খালেক গোপনে মৃত নাসরিনকে নিয়ে কুষ্টিয়া রওনা হচ্ছিলেন, তখনই রুগী নাসরিনের পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারেন যে তাদের মেয়ে মারা গেছে এবং মৃত্যু মানুষ নিয়ে কুষ্টিয়া রওনা দিচ্ছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, এই মৃত্যু কোনো ভাবেই স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে না, চিকিৎসার ভুলে ও গাফিলতির কারনে নাসরিনের মৃত্যু হয়েছে, তারা এই মৃত্যুর বিচার চাই। তখন উত্তেজিত জনগণ ক্লিনিক বন্ধ করার দাবি জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়ে ডা: এম এ খালেক সাংবাদিকদের বলেন আমাদের কোনো ভুল নেই, রোগী মারা গেছে হার্ট অ্যাটাকে এবং তিনি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সাংবাদিকদের সাথে একটি সমঝোতা করেন বলেও জানা যায়।
এদিকে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: শুভ্রা রানী দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান রোগীর পরিবারের লিখিত অভিযোগ দিলে , আমরা অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ নিবো।