ছবি ও সংবাদ >> রফিকুল ইসলাম সবুজ : আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া (২১ মে) মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। ইতিমধ্যে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা জয় নিশ্চিত করার প্রত্যাশায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে কোন দলীয় প্রতীক না থাকায় সকলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সেলিনা মির্জা মুক্তির ‘মোটর সাইকেল’ প্রতীকে।
মোটর সাইকেল’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলার সর্বমহলে পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সর্বাধিনায়ক, সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের সাবেক প্যানেল স্পিকার, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গণমানুষের জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জার সুযোগ্য কন্যা, উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সেলিনা মির্জা মুক্তি।
জয়ের লক্ষ্যে তিনি তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেল শো-ডাউন, গণসংযোগ, পাড়া-মহল্লায় হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণসহ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। তার এমন প্রচারণা দেখে ভোট দেওয়ার আগ্রহ তৈরি হয়েছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। আর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা তাকে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন।
উপজেলার একাধিক ভোটাররা জানান, ‘দীর্ঘ বছর পর আমরা আমাদের মনের মতো প্রার্থীকে পেয়েছি এজন্য আমরা আনন্দিত। আগামী (২১ মে) ‘‘মোটরসাইকেল’’ মার্কায় ভোট দিয়ে আমরা সেটা প্রমাণ করে দিবো।’
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জার সুযোগ্য কন্যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তার বাবার মতোই মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকবে বলেও প্রত্যাশা উপজেলা বাসীর।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিনা মির্জা মুক্তি বলেন, ‘উপজেলার আপামর জনগণের ভালোবাসা ও প্রেরণায় আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি। আমার নির্বাচনী প্রতীক ‘মোটর সাইকেল’ মার্কা নিয়ে আমি জনগণের যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমার উপজেলার সকলেই তাদের মহামূল্যবান ভোটটি আমাকে দিয়ে জয় নিশ্চিত করবে, ইনশাআল্লাহ্।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা উল্লাপাড়া ও সলঙ্গার মানুষের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে ছিল। আমিও আমার বাবার মতোই সবার পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ্। আমার প্রাণ প্রিয় উপজেলা বাসীর ভালোবাসায় আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে আমার অধীনস্থ প্রত্যেকটি ইউনিয়নে দারিদ্র মোচন, শিক্ষার সু-ব্যবস্থা, অবহেলিত সড়ক, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করবো। এটাই আমার অঙ্গিকার।’
ভোটাররা সকল প্রার্থীকে বিবেচনা করে নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদান করে তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে জয়যুক্ত করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।