শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি ও প্রকৃতি
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চট্টগ্রাম
  15. চাকরীর খবর

১৬ গুণী ও কীর্তিমানকে ঢাকায় সম্মাণনা

প্রতিবেদক
বার্তা প্রবাহ
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৯:৩৮ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে খেলাধুলার মানোন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল এমপি। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ১৬ জন ‘কৃতী সন্তান’কে বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে ঢাকায় ‘গ্র্যাজুয়েট স্বাধীনতা এওয়ার্ড ২০২৪’ সম্মাননা প্রদান করার সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নবীনগর উপজেলা গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশন। তিনি বলেন, এই সংগঠনের সভাপতি নবীনগরের সংসদ সদস্য হিসেবে খেলাধুলার মানোন্নয়নে আমার সহযোগিতা চেয়েছেন। নতুন খেলার মাঠ তৈরীর অনুরোধ করেছেন। আমি এরকম মানুষই খুঁজছিলাম। আমার মনে হয় আমি এ অনুষ্ঠানে সঠিক মানুষের সন্ধান পেয়েছি। জাকারিয়া পিন্টু, রকিবুল হাসান, খলিলুর রহমান, হুমায়ুন কবির ভাইদের পাশে পেলে নবীনগরের খেলাধুলার মানোন্নয়নে আমি সবরকম সহযোগিতাই করতে পারবো। নবীনগরে এতোসব গুণী লোকের জন্ম সেটা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। আজ যারা সম্মানিত হয়েছেন তাদের নিয়ে আমরা নবীনগরে আরেকটি অনুষ্ঠান করতে চাই। এ বিষয়ে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। নবীনগরের যে কোন স্কুল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আমরা এ আয়োজন করতে পারি। আমাদের সন্তানরা দেশবরেণ্য এই গুণীজনদের ইতিহাস জানতে পারলে নিজেরাও নিজেদের গুণী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে উৎসাহিত হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত ফুটবলার স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রথম অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জাকারিয়া পিন্টু, স্বাধীনতা পদক পাওয়া বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এএসএম রকিবুল হাসান ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন(বিপিএসসি) সদস্য সাবেক সচিব মো. খলিলুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বক্তারা একটি উপজেলার এতজন গুণী মানুষকে এক জায়গায় একত্রিত করা এবং সম্মাননা জানানোর আয়োজনকে অনুকরণীয় হিসেবে অভিহিত করেন। ক্রিকেটার রকিবুল হাসান বলেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে শুধু রাজনীতি নিয়ে পড়ে থাকলেই হবে না, পাশাপাশি শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে হবে। বিপিএসসি সদস্য মো. খলিলুর রহমান বলেন, গুণীজনদের সম্মাণনা জানানোর এই উদ্যোগ নিয়ে নবীনগর উপজেলা গ্র্যাজুয়েট এসোসিয়েশন এক অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে৷ এই সংগঠনের সভাপতি কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল ভাই এই সময়ে এই আয়োজন করে সাহসী কাজ করেছেন।

সংগঠনের সভাপতি কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কাজী ইমরুল কবীর সুমন। কাজী ইমরুল কবীর সুমন বলেন, নবীনগরের বিভিন্ন এলাকায় শিশু কিশোরদের খেলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই৷ এখানকার স্কুল কলেজ বা ঈদগাহ মাঠেও বিভিন্ন অযুহাতে শিশুদের খেলতে দেয়া হয় না। এ কারণে শিশু কিশোরররা মোবাইল গেমে আসক্ত হচ্ছে। সবুজ মাঠে শিশু কিশোরদের খেলার ব্যবস্থা করে দিতে এবং নতুন খেলার মাঠ তৈরীর জন্য তিনি সংসদ সদস্যের প্রতি অনুরোধ জানান। সভাপতি কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল বলেন, নবীনগরের গুণী ব্যক্তিদের সম্মাণনা জানানোর চেষ্টা করছিলাম আমরা। এবার সে চেষ্টা সফল হয়েছে। এটা এ বছরই শেষ হয়েছে তা নয়। এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আমি যতদিন সভাপতি আছি ততদিন আমরা প্রতি বছর গুণী ব্যক্তিদের সম্মাণনা জানাবো ইনশাল্লাহ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তিলওয়াত করেন মাওলানা মুফতি হাফেজ হোসাইন আহমেদ নূর আলম। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন মো. কামরুজ্জামান ও এডভোকেট একেএম রেজাউল করিম সবুজ।

সম্মাননা জানানো ৯ গুণী ব্যক্তি হলেন- অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, কূটনীতিবিদ এম হুমায়ুন কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক সরকার, অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ, সংগীতজ্ঞ শেখ সাদী খান, ক্রীড়াবিদ গোলাম সারোয়ার টিপু, তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার, সাংবাদিক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ লাবলু ও তুষার আব্দুল্লাহ।

৭ জনকে মরণোত্তর সম্মাননা জানানো হয়। তারা হলেন আগরতলা ষরযন্ত্র মামলার আসামি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি কাজী আকবার উদ্দীন সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি এডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন, শাহজাহান সিদ্দিকী বীরবিক্রম, এ. কে. এম আতিকুল ইসলাম বীর প্রতীক, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান ও স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দসৈনিক নাট্যজন আলী যাকের। সংবর্ধিত ব্যক্তি ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ, উত্তরীয় ও উপহার তুলে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ - খুলনা