অনলাইন ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে আবারও ৮ কৃষককে অপহরণ করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। এদের মধ্যে ৭ জনের নাম পাওয়া গেছে।
অপহৃতরা হলেন, উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যং উত্তর পাড়ার আলী আকবরের ছেলে সৈয়দ হোসেন বাবুল, দক্ষিণ পাড়ার কালা মিয়ার ছেলে ফজল কাদের, করাচি পাড়ার শহর আলীর ছেলে ফরিদ আহমদ, শাকিল, সোনা মিয়া, বেলাল উদ্দীনের ছেলে মোহাম্মদ জুনাইদ ও মোহাম্মদ নুর।
বুধবার সকালে পাহাড়ে কাজ করতে গেলে সেখানে ডাকাতের কবলে পড়ে আট কৃষক । বিকাল আড়াইটার দিকে অপহৃতদের স্বজনের কাছে মুঠোফোনে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এরপরই ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচি পাড়ার বাসিন্দা ও অপহৃত এক কৃষকের স্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমার স্বামী পাহাড়ের পাশে ক্ষেতে কাজ করতেন ও গরু পাহারা দিতেন। আজকে সকালে সেখানে ডাকাতের কবলে পড়ে আটজন। প্রতিজনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দাবি করলে তাদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে আমি ২০ হাজার টাকা পাঠাই। এরপর রাত দশটায়ও তারা আমার স্বামীকে ছেড়ে দেয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আট জন কৃষককে মুক্তি দিতে ২০ হাজার টাকা করে পরিবার থেকে দাবি করেছে। বিষয়টি পুলিশ এবং সাংবাদিকদের না জানানোর জন্যও হুমকি দেয়া হয়েছে। বুধবার রাত পৌনে দশটা পর্যন্ত চার পরিবার থেকে ৭০ হাজার টাকা অপহরণ কারীদের দেয়া বিকাশ নাম্বরে পাঠিয়েছে অপহৃতদের পরিবার থেকে। তবে রাত দশটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অপহৃতদের কাউকে মুক্তি দেয়া হয়নি।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, আমার এলাকায় অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছেন। গত মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিনে দশ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এ পর্যন্ত কেউ মুক্তি পাননি। তাদের স্বজনরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
এদিকে টেকনাফে নতুন করে পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। গত ৯ মার্চ হ্নীলা পানখালী এলাকা থেকে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ নামের ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণের ১৮ দিন পার হলেও এখনো তার হদিস পাওয়া যায়নি। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার ভোরে হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী পাহাড় থেকে পাঁচজন কৃষক অপহরণের শিকার হয়ে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসে।
এর আগে ১০ মার্চ হোয়াইক্যংয়ের রইক্যং এলাকা থেকে ৭ জন অপহরণের শিকার হয়। তারাও ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণে ফেরত এসেছে।
এভাবেই টেকনাফে একেরপর এক অপহরণের ঘটনা ঘটছে এবং বেশিরভাগই মুক্তিপণ দিয়েই ফিরছে।