বুধবার , ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি ও প্রকৃতি
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চট্টগ্রাম
  15. চাকরীর খবর

রংধনুর চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবেদক
বার্তা প্রবাহ
নভেম্বর ২৯, ২০২৩ ৩:১৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রুপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও রুংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন। রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি দখল, লুটপাট ও ব্যাংক জালিয়াতি করে জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচারের অভিযোগ তদন্ত করে বিচারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বুধবার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় তারা।

এসময় ব্যাংক লুটপাট ও অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করে রফিকুল ইসলামের মুখোশ উন্মোচন ও জনগণের টাকা উদ্ধারের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর সুফি সাগর সামস্ বলেন, দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে। অনেক বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। অথচ, দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে কিছু অসাধু চক্র। এই জালিয়াত চক্র গত কয়েক বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। এমনই এক পাচারকারী রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। তিনি নিজের বিক্রিত সম্পত্তি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন, যা সম্প্রতি সামনে এসেছে। বিগত দিনে হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপের মত রংধনু গ্রুপের মালিকও একইভাবে দেশের মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করছে, যার তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্ত করলে এমন আরো অসংখ্য জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

তিনি বলেন, ডিম বিক্রি করে পেট চালানো রফিকুল ইসলাম কিভাবে রাতারাতি শিল্পপতি বনে গেল, কোথায় কোথায় তার সম্পত্তি আছে, সম্পত্তির উৎস কি- এগুলো তদন্ত করলে থলের বিড়াল বাইরে বেরিয়ে আসবে। ব্যাংকের অর্থ লুটপাট মানে সাধারণ মানুষের অর্থ লুটপাট। এতে মানুষ ব্যাংকের প্রতি আস্থা হারাবে। লুটপাটের অর্থ দেশে বিনিয়োগ করলেও অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান হত। কিন্তু রফিকুল ইসলাম দেশের বাইরে অর্থ পাচার করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম তার এলাকা কায়েতপাড়ায় অসংখ্য মানুষকে ভিটেমাটি ছাড়া করেছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। মারধর, রাতের আঁধারে যুবতী মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে ঘর ছাড়া করেছেন অসংখ্য পরিবারকে। বুলডোজার দিয়ে মানুষের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে দখল করেছেন জমি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মডেল মিস আয়ারল্যান্ড মাকসুদা আক্তার প্রিয়তীকে যৌন হেনস্থা করেও গায়েবি শক্তির বলে পার পেয়ে গেছেন। প্রিয়তি ফেসবুক লাইভে এসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় এমন অরাজকতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা দেশের জন্য অসম্মানের।

তিনি বলেন, আমাদের সংগঠনটি যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এর আগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা টানা এক বছর আন্দোলন করেছি। রফিকুল ইসলাম ভাটারা মৌজার বেশ কয়েকটি প্লটের জমি গত বছর বিক্রি করলেও তথ্য গোপন করে একই জমির বিনিময়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে চলতি বছর ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। ওই জমিতে এখন ভবন তুলছেন মূল মালিকরা। ব্যাংকটি তিন দফায় ঋণ ছাড় করলেও সেই টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে সেই খোঁজ নেয়নি ব্যাংকটি। এভাবেই বাড্ডার সামান্য ডিম বিক্রেতা থেকে আঙ্গুল ফুলে রাতারাতি টাকার কুমির হয়েছেন রফিকুল ইসলাম। রংধনু গ্রুপের মালিক হলেও নিজ এলাকায় তিনি এখনও ‘আন্ডা রফিক’ হিসেবেই পরিচিত। রুপগঞ্জবাসী তার ভয়ে তটস্থ।

রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান তালুকদার ও সিনিয়র সদস্য আমির সোহেল মল্লিক।

সর্বশেষ - খুলনা