বুধবার , ২২ নভেম্বর ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি ও প্রকৃতি
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চট্টগ্রাম
  15. চাকরীর খবর

ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থী হলেও আলোচনায় সাদেক খান

প্রতিবেদক
বার্তা প্রবাহ
নভেম্বর ২২, ২০২৩ ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

এম রাসেল সরকার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। এরই মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

তফসিল ঘোষণার পর (২১ নভেম্বর) মঙ্গলবার দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা নেওয়ার কাজ শেষ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন, সেটাই আলোচনার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় ঢাকা-১৩ আসনে সৎ ও যোগ্য নেতা হিসেবে আলোচনায় শীর্ষে আছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহা্জ্ব মোঃ সাদেক খান। ঢাকা-১৩ জাতীয় সংসদের ১৮৬ নম্বর আসন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরে বাংলা নগরের একাংশ নিয়ে আসনটি গঠিত। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ড এই সংসদীয় আসনের অন্তর্ভুক্ত। এই আসনে ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান।

ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহা্জ্ব মোঃ সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী হক, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এম.এ. সাত্তার এবং শিরনী আহমেদ সহ মোট ৬ জন ফরম জমা দিয়েছে।

ঢাকা-১৩ আসন এলাকার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান একজন ক্লিন ইমেজের লোক। আমরা আবারও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খানকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর ঢাকা-১৩ আসন এলাকায় দখলদারি, চাঁদাবাজি, মাস্তানি বা দলের মধ্যে গ্রুপিং নেই। তিনি ঢাকা-১৩ আসন এলাকায় আছেন বলেই মানুষ নির্ভয়ে ঘুমাতে পারে। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে তিনি সফলতার সহিত সেই দায়িত্ব পালন করছে। আমরা তার কোন ব্যার্থতার দেখতে পাই না।

মোহাম্মদপুর টাউন হল, কৃষি মার্কেট, রায়ের বাজার ও শেরে বাংলা নগরের একাংশ ঘুরে সরেজমিনে খোঁজ খবর নিলে ব্যবসায়িরা জানান, আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা শান্তিতে ব্যবসা করতে পারছি।এখানে কোন দখলদারি, চাঁদাবাজি বা মাস্তানি নাই। তিনি আবারও এমপি নির্বাচিত হোক এটাই আমাদের চাওয়া।

আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৩ আসন থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে সাদেক খান অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বকনিষ্ঠ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত সপলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি তখন দু’বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ৪৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছিলেন।

এরপর ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৎকালীন ৪৭ নং ওয়ার্ড ও বর্তমান ৩৪ নং ওয়ার্ড থেকে চারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ কাউন্সিলরের পুরস্কারও পেয়েছেন।

তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফলতার পরিচয় দিয়েছে। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

আলোচিত ১/১১’র সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কারাবন্দি হলে তার মুক্তির দাবিতে জনতার মঞ্চের সংগঠক হিসেবে সাড়ে ৪ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।

সর্বশেষ - খুলনা

আপনার জন্য নির্বাচিত