আবু বকর সিদ্দিক স্বপন, ঝিনাইদহ : ১৯ শে নভেম্বর রবিবার সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালিচরনপুর ইউনিয়নের ১নং কৃষ্ণ কাষ্টসাগরা গ্রামের ইট ভাটাই পাওয়া গেছে এক এসকেভেটর ড্রাইভারের লাশ। এসকেভেটর ড্রাইভারের ছোটভাই সোহাগ ছিলো তার সাহায্যকারী। সকালে সোহাগের ঘুম ভেঙে উঠলে দেখে বিছানায় তার পাশে তার বড়ভাই সবুজ নেই। সবুজ হচ্ছে এই ভাটারই এসকেভেটর ড্রাইভার যার মৃত্যু হয়েছে কিভাবে কেউ জানেনা। মৃত সবুজ ও সোহাগ হচ্ছে পাবনা জেলার তারা প্রায় তিন থেকে চার বছর এখানেই কর্মরত। সোহাগ যখন তার বড়ভাইকে বিছানায় না পায় তখন সে হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় কাঁদা করা মেশিনের কাছে যার নাম হচ্ছে এসকেভেটর। আর এই এসকেভটর দিয়ে মাটি, পানি একসাথে মিশ্রিত করে অনেক সময় ধরে নেড়ে নেড়ে তৈরি করা হয় ইট বানানোর কাঁদা। সেখানে যেয়ে দেখেন তার বড়ভাই সবুজ এসকেভেটর গাড়ির ভেতরে পরে আছে। দৌড়ে যেয়ে তার বড়ভাই সবুজের হাত ধরলে দেখতে পাই সে আর জীবিত নেই। কান্নায় ভেঙে পড়ে ছোট ভাই সোহাগ। সোহাগ আবারও দৌড়ে চলে যায় ভাটার অফিসে। সেখানে তার এক নানাকে বলে এই বিষয়ে এবং নানাকে নিয়ে পুনরায় আবার দৌড়ে লাশের কাছে চলে যায়। নানা তখন ভাটার মালিককে ফোন করে এবং ঝিনাইদহ সদর থানায় ঘটনাটি জানান।
অবশেষে ঝিনাইদহ সদর থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবিদুর রহমান আবিদ ও সদর থানার ওসি শাহিন উদ্দিন খবর পেয়ে ঘটনা স্থানে যায় এবং ঝিনাইদহ সদর থানার ফায়ার সার্ভিসের খবর দিয়ে লাশটি গাড়ি থেকে বের করেন। তারপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবিদুর রহমান আবিদ লাশটি তদন্ত করার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েদেন। এবং তিনি বলেন কিভাবে ড্রাইভার মারা গেছে সেটা ময়না তদন্তের পরে জানানো যাবে।
তবে স্থানীয় এক এসকেভেটর ড্রাইভারের কাছে জিজ্ঞেস করা হয় যে এই দুর্ঘটনাটি কিভাবে ঘটতে পারে? ড্রাইভারের কথা অনুযায়ী জানা গেছে এসকেভেটর চলা কালীন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার সময় পরে যায় এসকেভেটরের চেইন। আর চেইন হইতো একা একা তুলার চেষ্টা করেছে। আর হইতো এভাবেই হতে পারে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা।