অনলাইন ডেস্ক : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণের জন্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বা সিসি ক্যামেরা থাকছে না। বাজেট সংকটের কারণে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনা থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরে এসেছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ভোট কক্ষের ডাকাত ধরতে বেশ তৎপরতা দেখিয়ে আসছে। বলা হয়, ভোট ছিনতাইয়ে বাধা হয়ে থাকবে ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা। গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটের মাঠ থেকে তথ্য না এলেও ক্যামেরায় অনিয়ম দেখে ভোট বন্ধ করে ইসি। ইভিএমের এবার ডাকাত ধরার সেই যন্ত্র ব্যবহার থেকেও সরে এলো এই নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি।
যদিও গাইবান্ধার উপনির্বাচনের ঘটনায় ইসির সমালোচনা করেছিলেন সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। তখন থেকেই কোনো চাপে থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইসি।
রাশেদা সুলতানা বলেন, চাপ নেই বলেই তো গাইবান্ধার পর আরও অনেক নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছি। বাজেট এবং যেটুকু ব্যবস্থাপনার আয়ত্তে ছিল, সে অনুযায়ী নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে ভোটের অনিয়মে মাঠ প্রশাসনের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি শাস্তিও হয়েছে কখনও কখনও। সিসি ক্যামেরা না থাকায় এখন কেবল মাঠের ওপর ভরসা করতে হবে কমিশনকে।
এ প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু সবকিছু তো আমাদের আয়ত্তের মধ্যে থাকে না। আরপিওতে প্রিজাডিং অফিসারদের ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তারা এখন আমাদের হয়ে কাজ করবেন। সিসি ক্যামেরার মতো কাজ করবে।