অনলাইন ডেস্ক : তুলনামূলক কম খরচ ও লাভ বেশি হওয়ায় সাধারণ নিয়মের বাইরে বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। যাদের চাষের জমি নেই, তারা বাড়ির আশপাশে বা আঙিনায় কিংবা গাছতলায় অন্যান্য ফসলের সঙ্গে সঙ্গী ফসল হিসেবে বস্তায় আদা চাষ করে বাড়তি আয় করছেন। বস্তায় আদা চাষ করলে গাছে তেমন কোনো রোগ বালাই হয় না। সার, কীটনাশক কম লাগে। পরিশ্রম কম, পরিচর্যা সহজ হয়। গাছ হৃষ্টপুষ্ট থাকে। তাই দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বস্তায় আদা চাষ।
আদা প্রাকৃতিক ঔষধি গুণাগুণে ভরপুর। আদা লাগানোর ৯ থেকে ১০ মাসের মধ্যে উত্তোলন করা যায়। পতিত ও গাছের তলা এমনকি বাঁশতলার নিচে বস্তায় মাটি ভরে আদা চাষে চাষিদের উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে।
বস্তায় আদা চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন চিরিরবন্দরের ভূষিরবন্দর বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর আবদুল মান্নান সরকার। তিনি গত বছর পরীক্ষামূলক বাড়ির আঙিনায় বস্তায় আদা চাষ করে ব্যাপক লাভবান হওয়ায় এবছর ১২০০ বস্তায় আদা চাষ করেছেন। এছাড়াও চিরিরবন্দর উপজেলার নশরৎপুর, সাতনলা, বাসুদেবপুর, বিন্যাকুড়িসহ বিভিন্ন গ্রামের শৌখিন চাষিরা বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন।
আবদুল মান্নান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামের পতিত জমি ও গাছতলায় বস্তায় আদা আবাদ করছি। এর জন্য আলাদা জমিরও প্রয়োজন নেই। যাদের আবাদি জমি নেই, তারা ইচ্ছে করলে বসতবাড়ির আশপাশে, বাড়ির আঙিনায় অথবা অন্যান্য পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করতে পারেন।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা বলেন, এটি একটি বিকল্প পদ্ধতি। যেখানে মাটি ভালো নেই, কিংবা সংকট রয়েছে, সেখানে এটি কার্যকর। অনেকে এখন ছাদে বস্তায় ভরে আদা চাষ করছেন। যাদের চাষাবাদের জমি নেই, তাদের বাড়ির অব্যবহৃত জায়গায় বা বাড়ির আঙিনায় বস্তায় আদা চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এতে অল্প খরচে চাষি বেশি লাভবান হতে পারছেন। চাষিদের আদা চাষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছি।