অনলাইন ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি রবিবার। তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। এবারে ভোট দেবে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটার। কেন্দ্রসংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার। ভোটক্ষক ২ লাখ ৬২ হাজার। ৩০০ আসনেই ভোট হবে ব্যালট পেপারে।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। প্রায় ১৪ মিনিটের ভাষণে শুরুতে সিইসি বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ভাষণে রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসে সমাধান খোঁজার তাগিদ দিয়ে সিইসি বলেন, আমি সব রাজনৈতিক দলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করব, সংঘাত পরিহার করে সমাধান অন্বেষণ করুন। সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়।
সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি চূড়ান্ত করতে গতকাল বিকাল ৫টায় নির্বাচন ভবনে সিইসির কক্ষে নির্বাচন কমিশনের ২৬তম সভা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সভায় চার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন। সভায় মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়, বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ সময় ও ভোটের দিন ঠিক করে বিস্তারিত তফসিল চূড়ান্ত করা হয়। এর পরই সন্ধ্যা ৭টায় সিইসি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সিইসির ভাষণ বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এবারে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। সে ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।
একাদশ সংসদের যাত্রা হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি, সেই সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুসারেই তফসিল ঘোষণা করছে নির্বাচন পরিচালনাকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি।